শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া  

আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

কুষ্টিয়ায় মামলার হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসিকুজ্জামান শুভ (৩৩) নামে এক যুবককে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে আহত যুবকের মা মোছা. আফরোজা সুলতানা বাদী হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলায়  অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মামুনুর রশিদ। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাচারা গ্রামের মৃত তেজারত মণ্ডলের ছেলে লাট্টু খাঁ(৬৫), একই এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া, মৃত আ. গফুর মণ্ডলের ছেলে কামাল মণ্ডল ও মৃত মসলেম উদ্দিন মোল্লার ছেলে আজাদুর রহমান। 

মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত রোববার আসিকুজ্জামান শুভ একটি মামলার হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। রাজ্জাক মোড়ে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন তার মোটরসাইকেলর গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রধান আসামি লাট্টু খাঁর নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ কুপিয়ে জখম করে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উজা গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লার সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবিরের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই সামাজিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি মামলায় আসামি হয়েছেন দুই পক্ষের সমর্থকরা। 

হামলায় আহত আসিকুজ্জামান শুভ সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাচারা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, আহত যুবকের চিকিৎসা চলছে। এখন পর্যন্ত তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মামুনুর রশিদ জানান, সামাজিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবকের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

টিএইচ